.
বাস্তবতা আসলে ভিন্ন। নিজের পুরোটা সময় অন্যকে দেওয়ার মত সময় আসলে কারোই থাকে না। সবাই নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। আপনি হয়ত তাকে যেমনটা করে ভাবছেন, তার জন্য যেমন কষ্ট পাচ্ছেন সে হয়ত আপনার জন্য তেমনটা অনুভব নাও করতে পারে। তার আশেপাশে হয়ত এমন মানুষ থাকে যাদের তুলনায় আপনার অবস্থান খুবই ক্ষুদ্র। সে হয়তো অন্য কারো জন্যই ঠিক একই রকম কষ্ট পাচ্ছে যেমনটা আপনি তার জন্য পাচ্ছেন। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে পড়লে আমাদের মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে যায়। আমরা এটা বিশ্বাস করতে নারাজ হয়ে যাই যে সবার জীবনের প্রায়োরিটি একই হয় না। আপনি হয়তো খুব বেশি মানুষের সাথে মিশেন না। তাই হয়তো কেউ হঠাৎ করে জীবন থেকে চলে গেলে শূন্যতার সাগরে হাবুডুবু খেতে হয়। কিন্তু যার জন্য এত কষ্ট পাচ্ছেন তার জীবনে হয়তো আপনার মত মানুষের অভাব নেই। একই রকম অনুভূতি ভাগাভাগি করার মানুষের অভাব নেই। আপনি মেসেঞ্জারে যার নামের পাশে সবুজ বাতি দেখে মেসেজের জন্য অপেক্ষা করছেন, সে হয়তো একই সাথে একাধিক মানুষের সাথে একই অনুভূতি ভাগাভাগি করে নিচ্ছে৷ তাই হঠাত আপনার অনুপস্থিতি তাকে আপনার মত পীড়া দেয় না। আপনি চলে গেছেন তাতে কি? আপনার মত আরো অনেকেই তো আছে।
ভালোর মুখোশ |
.
নিজের সুখের জন্য অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে দখল দেওয়া কখনোই উচিত নয়। এতে করে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক গুলোতে আসতে পারে ব্যাপক পরিবর্তন। আর তাই কিছু অনুভূতি কখনো প্রকাশ করতে নেই কিংবা কাউকে বুঝতেও দিতেও নেই। আর এজন্যই হয়তো প্রিয়জনকে লিখা হাজারো মেসেজ ব্যাকস্পেসেই হারিয়ে যায় অথবা স্ক্রিনশট হয়ে রয়ে যায় মুঠোফোনের কোন এক কোণে।
.
তাই নিজের প্রিয়জন বা বন্ধুর প্রতি নির্ভরশীল না হয়ে স্বনির্ভর হতে শিখুন।নিজের অনুভূতি অন্যকে না দেখিয়ে প্রতিনিয়ত অভিনয় করে যেতে হয়। আর ভাল থাকার অভিনয় করে যাওয়ার নামই তো জীবন।
0 মন্তব্যসমূহ
If you have any suggestions please let me know. It will be my pleasure to know your opinions. 😊